মাসুদ আলম: রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ  আজম মৃধা (৩৬) শনিবার সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যান।  এ নিয়ে ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ২৩ এ পৌঁছেছে। বার্ন ইনস্টিটিউটে ৮ জন চিকিৎসাধীন, তাদের কেউই শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এছাড়া, বিস্ফোরণের পর নিখোঁজ থাকা আবদুল মালেক মিয়া (১৩) নামের সেই কিশোরের সন্ধান  পেয়েছে পরিবার। 

শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, বিস্ফোরণ হওয়া ভবনে জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের কাজ চলছে। সেইসঙ্গে বিম বসানোর কাজও চলছে। যথারীতি ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ। ভবনের আশেপাশে উঁকিঝুকি দিচ্ছে উৎসুক জনতা। বিম বসানো শেষ হলেই ভবনের ভেতর বিভিন্ন বাহিনীর বিশেষ টিম (ফরেনসিক, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট) কাজ করতে পারবে। 

এদিকে রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন) ইঞ্জিনিয়ার মেজর সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী  (অব.) বলেন, নকশার একটি অনুলিপি তারা পেয়েছেন, তাতে ভবনটিকে বাণিজ্যিক হিসেবে ৫ম তলা পর্যন্ত ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে। কিন্তু মালিক পক্ষ ভবনটি সাততলা পর্যন্ত ব্যবহার করতো।  পরে ১০ তলা করার জন্য আরেকটি নকশা তৈরি করে জমা দিয়েছিলো মালিকেরা, কিন্তু সেটার অনুমোদন হয়নি। তবে ভবনটি না ভেঙে পূর্ণ সংস্কার করা গেলে রাখা যাবে।  

গতকাল শনিবার মারা যাওয়া আজমের বোন সানজিদা আক্তার বলেন, তাদের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার গোসিংগা। রাজধানীর মগবাজারে মধুবাগ এলাকায় থাকতেন। সিদ্দিকবাজারের বাংলাদেশ স্যানিটারি নামক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন তিনি। দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে আজম মৃধা ছিলেন বড়। লাভা নামের প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া ৬ বছর বয়সী এক মেয়ে আছে তার। 

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক এস এম আইয়ুব হোসেন বলেন, আজম মৃধার শরীরের ৮০ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব